কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩৫০ রান সংগ্রহ করেছেন ভারত। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনার পর বুমরার বলে দলীয় ৪৯ রানে জোড়া উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর চাহলের ও কুলদ্বীপের ঘূর্ণিতে দ্রতুই পাঁচটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৪১ ওভারে ২১৮/৮
ক্রিজে আছেন: মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ও সাইফুদ্দিন ২
কুলদ্বীপের শিকার তিন ব্যাটসম্যান: মিঠুনের বিদায়ের পর এখন ক্রিজে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ১৮ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে মাহমুদুল্লাহর কুলদ্বীপের শিকার হলে এই জুটির সমাপ্তি হয়। দলীয় স্কোর দুইশো পেরুলে কুলদ্বীপের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মুশফিক। ৯৪ বল থেকে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯০ রান করে আউট হন তিনি। পরের বলেই বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় গোল্ডেন ডাকটি মারেন মোসাদ্দেক। ০ রানে তিনি কুলদ্বীপের শিকারে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুশফিক ও সাব্বির ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাটিং করছেন।
ফের জোড়া উইকেটের পতন: ৪৯ রানে সৌম্য ও সাকিবের জোড়া উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশ দলকে চাপ সামলে টেনে তোলেন মুশফিক ও লিটন দাস। এই জুটিতে তারা যোগ করেন ১২০ রান। আয়ারল্যান্ডের পর আজ ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে দলীয় ১৬৯ রানের সময় আবার ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। চাহলের ঘূর্ণিতে লিটন ও মিঠুনের জোড়া উইকেট হারায় তারা। লিটন ৯০ বলে ১০টি চারের মারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ধোনির হাতে স্ট্যাম্পিং হন। আর ব্যক্তিগত শূন্য রান নিয়ে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরে যান মিঠুন
জোড়া উইকেটের পতন: ভারতের দেওয়া ৩৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ক্রিজে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে আসেন সৌম্য ও লিটন। এই জুটিতে সৌম্য নিজের স্বাভাব সুলভ ব্যাটিং করে ঝড়ো রান তুলতে থাকেন। অন্যদিকে লিটনের সূচনাটা ছিল ধীর ও স্থীর। এই জুটিতে ৪৯ রানে তোলার পরই বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন বুমরা। দশম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথমে উইকেটে পেছনে ২৯ বল থেকে ২৫ রান করা সৌম্যেকে ধোনির হাতে তালুবন্ধী করেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা সাকিব আল হাসানকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন বুমরা।
ভারত: এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধোনি ও রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। রাহুল করেন ১০৮ এবং ধেঅনি খেলেন ১১৩ রানের ইনিংস