বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ পরাজয়ের চরম লজ্জা থেকে বাঁচতে ক্রাইস্টচার্চে জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিউইরা। তাই টম ল্যাথামের দল প্রথম বল থেকেই শতভাগ পজিটিভ এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যাট চালিয়ে খেলেছে। তাইতো প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯।
কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং অ্যাপ্রোচ কি ঠিক ছিল? হ্যাগলি ওভালের এ পিচে যে লাইন ও লেন্থে বোলিং করা দরকার ছিল, টাইগার বোলাররা কি তা করতে পেরেছেন? এক কথায় বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংটা কি ঠিক উইকেট উপযোগী ছিল?
এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন নামী ক্রিকেট প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
ফাহিম মনে করেন, ‘মাঠে নেমে উইকেটের আচরণ ও গতি-প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই আমাদের বোলাররা বিপাকে পড়েছে। তারা দেখলো যে উইকেটের আচার আচরণ সম্পূর্ন ভিন্ন। তখন তাদের পুরো প্ল্যান পাল্টে ফেলা ছাড়া কোনো উপায়ই ছিল না।’
‘কিন্তু মাঠে নেমে আসলে প্ল্যান পাল্টানো কঠিন। তখন সরাসরি প্ল্যান ‘এ’ থেকে প্ল্যান ‘বি’তে চলে যেতে হয়েছে। বোলাররা হয়তো ভেবে বসেছিলেন, বল সুইং করবে, এই করবে সেই করবে। ওটা যখন একদম হয়নি, তখন প্ল্যান ‘বি’তে চলে যেতে হয়েছে। সে কাজটি করে দেখানো সহজ কাজ নয়। এছাড়া উইকেট এমন যে, লাইন ও লেন্থ একটু গড়বড় হলেই বিপদ। খুব মেপে বল করতে হবে। একটু খারাপ জায়গায় বল করলে রান আটকানোও মুশকিল। সমস্যাটা এখানেই হয়েছে।’
সে সঙ্গে ল্যাথামের দুবার আউট হয়েও ডিআরএস-এ বেঁচে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ফাহিম বলেন, ‘কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল। দুটি সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। উল্টো ওভার থ্রো’তে কিছু রান অতিরিক্ত দিয়েছি।’
‘এর বাইরে আমার মনে হয় আমরা আরও একটু ডিসিপ্লিন্ড বোলিং করতে পারতাম। যখন দেখলাম বল সুইং করছে না। ন্যাচারাল আর সীম ম্যুভমেন্টেও তেমন কিছু হচ্ছে না। তখন মনে হয় লাইন ও লেন্থ আর একটু টাইট করায় মনোযোগী হওয়া যেত। উইকেটে যখন কিছুই হচ্ছে না, ব্ল্যাক ক্যাপ্সরাও অনায়াসে স্বচ্ছন্দে রান করে যাচ্ছে, তখন একটু নেতিবাচক মানসিকতায় নেগেটিভ বোলিং করতে পারতাম আমরা।’