ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে ব্রিসবেনে অ্যাশেজ টেস্ট শুরুর সময়। তখন তাসমানিয়া ক্রিকেটের এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে মুঠোফোনে বেশ কিছু মেসেজ চালাচালি করেন টিম পেইন। হঠাৎই নিজের পুরুষাঙ্গের ছবিসহ যৌন উস্কানিমূলক মেসেজও দেন সেই নারী সহকর্মীকে।
সাত মাস পর ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে তাসমানিয়া ক্রিকেট ওই নারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে। তারপরই পেইনের ওই আপত্তিকর মেসেজের বিষয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ না করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া ক্রিকেট তদন্তে নেমে পড়ে, যেখানে তারা এটা বলে শেষ করে, ‘কোনো আচরণবিধি লংঘন করেননি পেইন।’
সেই ঘটনা সম্প্রতি সামনে এনেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম। এর জেরে টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়েছেন পেইন। প্রায় ৪ বছর আগের সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সিএ’র চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রয়েডেনস্টেন। তার মতে, সেই সময়ই পেইনকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘ ২০১৮ সালে নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে বাস্তবতার ভিত্তিতে আজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিতো না। এই সিদ্ধান্ত ভুল বার্তা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের একটি পরিস্কার চরিত্র এবং সর্বোচ্চ মান থাকতে হবে। সেই সময় টিম পেইনকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’
এদিকে পেইন নেতৃত্ব ছাড়ায় নতুন অধিনায়কের সন্ধানে রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথকে আবারো দায়িত্ব দেয়ার আলোচনা হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে। তবে স্মিথকে নেতৃত্বে ফেরাতে চাইছে না সিএ। অস্ট্রেলিয়ার নতুন টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই পেসারের হাতেই উঠতে যাচ্ছে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের ব্যাটন। অধিনায়কত্ব হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া দলে পেইনের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। শেষ পর্যন্ত পেইনকে বিবেচনা না করা হলে টেস্ট দলে দেখা যেতে পারে অ্যালেক্স ক্যারি কিংবা জস ইংলিশকে।