রবিবার ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যেকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের পর্দা নামতে যাচ্ছে। তাই স্বাভাবতই ফাইনালের ম্যাচের টিকেট এখন সোনার হরিণ। যার দরুণ বিশ্বকাপ ফাইনালের ২৯৫ পাউন্ডের টিকেটটি ৫০ গুণ বেশি দামে ১৬ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১৭ লাখ টাকা) পর্যন্ত ব্যায় করতে হচ্ছে দুই দলের ভক্ত অনুরাগীদের।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ অন্যতম ফেবারিট হয়ে আসর শুরু করেছিল ভারতীয় দল। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে কোহলির দল। তাই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা আগে থেকেই ফাইনালে টিকেট কেটে রাখেন। যেটা প্রায় মোট টিকেটের ৯০ শতাংশ।
তবে কিউইদের কাছে পরাজয়ে ফাইনালে ওঠার স্বাদ পূরণ হয়নি তাদের। ফলে ভারতীয়দের কাছে এখন ফাইনাল ম্রাচ দেখার চাইতে সেই টিকেট বাড়তি দামে কালোবাজারে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করার সুযোগটাকে হাত ছাড়া করতে চাইছেন না অনেকে। এক্ষেত্রে ভারতীয়রা আইসিসি কতৃক নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রি-সেল প্ল্যাটফর্ম উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত ভাবে অন্য ব্যক্তির কোছে অর্থের বিনিময়ে টিকেট হস্তান্তর করছে। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক বার একটি টিকেট হাত বদল হয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে পৌছাচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় টিকেট বিক্রি প্রমাণিত হলে তা বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও আটকানো যাচ্ছেনা টিকেটের কালোবাজারি।
আইসিসি নির্ধারিত একটি ওয়েবসাইট থেকে গত শুক্রবার লর্ডসের কম্পটন স্ট্যান্ডের দুটি টিকিট বিক্রি হয়, প্রতিটি ২০ হাজার ৭৭৬ ডলারে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৭ লাক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪৩। টিকিটের প্রকৃত মূল্য ছিল ২৯৫ পাউন্ড। যা শেষ পর্যন্ত ৫০ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার পাউন্ডেরও বেশি। অন্য একটি স্ট্যান্ডের টিকিটও বিক্রি হচ্ছে ৩৭০০ থেকে ৫০০০ ডলারে। টাকার হিসেবে যা, ৩ থেকে ৪ লক্ষ পর্যন্ত।
তবে শুধূ ফাইনাল ম্যাচই নয় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচের সিংহভাগ টিকিট ছিল ভারতীয়দের দখলে। তাই আশঙ্কা করা হয়েছিল, গ্যালারি ফাঁকা না থেকে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গ্যালারি প্রায় পূর্ণই ছিল।
ধারণা করা হয় সেই টিকেটও কালোবাজারিতে বিক্রি করেছেন ভারতীয়রা। ফলে রবিরার ফাইনালের টিকিটও একইভাবে হাতবদল হচ্ছে।