পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। সমাজের অবকাঠামোকে তোয়াক্কা না করে পূরন করছে নিজ ইচ্ছে গুলোকে। তারই দৃষ্টান্ত একজন পেশাদার ক্রিকেটার লাবনী আক্তার। কঠোর ইসলামিক অনুশাসন মেনে চলার পরেও তিনি খেলাঘরের হয়ে খেলছেন প্রিমিয়ার ক্রিকেট। জানিয়েছেন নিজেদের উঠে আসা, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার কথা।
মেয়েদের প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দলবদল। বরাবরের মত এবারও নিরুত্তাপ। নেই মিডিয়া অ্যাটেনশন। তবে প্রাণহীন দলবদলে এক জোড়া কালো চোখে যেন প্রাণের সঞ্চার। সজাগ ক্যামেরার লেন্স।
বগুড়ার মেয়ে লাবনী আক্তার। শিশু কাল থেকেই ক্রিকেটের সাথে প্রেম। বাবা চাচার সাথে ক্রিকেট দেখতে দেখতেই মনের কোনে ক্রিকেটার হবার সুপ্ত বাসনা। রক্ষণশীল পরিবার। বাব-ভাইদের গরম চোখ। থোরাই কেয়ার। মেয়ের স্বপ্ন-সারথী হলেন মা। আর কি লাগে?
খেলাঘরের ক্রিকেটার লাবনী আক্তার বলেন, ‘আমার মা আমাকে প্রাইভেটের নাম করে স্টেডিয়ামে নিয়ে যেত। আমার বাসা যেহেতু বগুড়ায় ছিল তাই সন্ধ্যা হলেই আমাকে নিয়ে আসতো। আমি মনে করি ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন কিছু করা সম্ভব, আর আমার এই ইচ্ছা শক্তি দেখেই আমাকে আমার মা সাপোর্ট করেছেন।’
ময়দানে একজন পেশাদার ক্রিকেটার। তবে মাঠের বাইরে ধর্ম প্রাণ এক মুসলিম নারী। কঠোর ভাবে মেনে চলেন ইসলামিক অনুশাসন। উদাহর হিসাবে ওর অনুপ্রেরণা হাশিম আমলা। ন্যাশনাল ক্যাম্পে নিজের জাত চিনিয়েছেন। এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষা। হতে চান বিশ্ব সেরা অফ স্পিনার। আরও দশ বছর ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চান খেলাঘররে এই বোলার।
লাবনী আক্তার বলেন, একজন ক্রিকেটার হওয়ার মানে এই না যে আমাকে সবসময় প্যান্ট শার্ট বা শর্ট পোষাক পরতে হবে। আমি এই পোষাক পরে খেলেই সবার কাছে পরিচিত হতে চাই।
ইয়োসরা জাহান নূরের গল্পটা লাবনীর ঠিক উলটা। পরিবার পরিবেশ আর পরিস্থিতি সব কিছুই ছিলো পক্ষে। ভালো লাগা থেকেই ক্রিকেট ভালোবাসা। প্রিমিয়ার খেলছেন কেরাণীগঞ্জের হয়ে। তবে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখছেন না এই নারী।
কেরাণীগঞ্জের ক্রিকেটার ইয়োসরা জাহান নূর জানান, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট এখনো অত উন্নত হতে পারে নি যে এটাকে আমি আমার প্রফেশন হিসেবে বেছে নিব। তাই ভালবেসেই খেলছি।