রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ঢাকার আলিস আল আহম্মেদ। তবে এই ম্যাচের পরই ২২ বছর বয়সী আলিসের সব ধরণের ডেলিভারিই সন্দেহজনক বলে রিপোর্ট দেন আম্পায়াররা। এরপর ২৬ জানুয়ারি বোলিং পরীক্ষা দিনক্ষণ ঠিক হয়। এর মধ্যে ম্যাচ খেলে যেতে কোনো বাধা ছিল না আলিসের সামনে।
সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন আলিস। এই ম্যাচে মাত্র ১ ওভার বোলিং করেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শুক্রবারের ম্যাচে লং-অনে ফিল্ডিং করার সময় থ্রো করতে গিয়ে হাঁটুতে টান লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলিস। পরে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে ডেলিভারির আগে আবার টান লাগে হাঁটুতে। তখন সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয় তাকে।
ঢাকার নেট বোলিং থেকে একাদশে জায়গা পেয়ে চমক দেখানো আলিসের বিপিএল কি এখানেই শেষ হলো কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর ঢাকার টিম ম্যানেজার আজম ইকবাল জানান চোট গুরুতর বলেই ধারাণা করা হচ্ছে, ‘আলিসের চোট আমরা যা দেখেছি তাতে একটু বেশিই মনে হচ্ছে। দেখা যাক; এক্স-রে, এমআরআই করানোর আগ পর্যন্ত জোর দিয়ে কিছু বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত যা দেখেছি তাতে মনে হচ্ছে না সে ভালো অবস্থায় আছে।’
এদিকে এক সপ্তাহ পরই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় বসতে হবে আলিসকে। এর মধ্যে চোট থেকে মোটামুটি সুস্থ না হলে পেছাতে পারে তার বোলিং পরীক্ষা।