প্রথমে ব্যাট করে বড় স্কোর গড়েও জিততে পারলনা খুলনা। তাদের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চলতি আসরে এটি তাদের চতুর্থ জয়। বড় রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। উদ্ধোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ধুন্দুরাম ব্যাটিং দলকে শতাধিক রানের জুটিতে পৌঁছে দেয়। তার আগে এই দুই ব্যাটসম্যান প্রথম ছয় ওভার থেকেই তোলেন ৫৮ রান। যা কুমিল্লার জয়ের ভীত গড়ে দেয়।
এদিন ২৮ বল থেকে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর তার কাছে থেকেও এবারের বিপিএল চলতি আসরের প্রথম শতকটা এলো না। ১৩তম ওভারে মালিঙ্গার করা প্রথম বলে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪২ বল থেকে ৭৩ রান করে ফেরেন তিনি। এ সময় তাদের স্কোর ১১৫/১ উইকেট।
দ্বিতীয় উইকেটে বিজয়কে সঙ্গ দেন কায়েস। এই জুটির ১২ রানের মাথায় ৩৭ বল থেকে ৪০ রানে মাহমুদউল্লাহর শিকারে পরিণত হন বিজয়। তার ইনিংসটি ৫টি চারের মারে সাজানো ছিল। এর ২ রানের ব্যবধানে ১ রান নিয়ে রান আউট হন শামসুর রহমান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১ রান দিয়ে জুনায়েদ খান দুটি বলে কায়েস ও ডোসামকে তুলে নিলে ম্যাচে ফেরে খুলনা। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ২৮ রান।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে মালিঙ্গা ৭ রান দিলেও জুনায়েদের করা ১৯তম ওভারে কুমিল্লা নেয় ১৩ রান। ফলে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে কুমিল্লার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বল ৮ রান।
ব্রেথওয়েটের করা শেষ ওভারে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার ও ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন পেরেরা। ৭ বল থেকে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন পেরেরা। এতে ১৯.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিযে জয় পায় কুমিল্লা।
খুলনার হয়ে এদিন মালিঙ্গা ছাড়া সকলেই বল হাতে খরুচে ছিলেন। ২২ রান দিয়ে তিনি নেন ১টি উইকেট। ৩৬ রানে মাহমুদল্লাহ নেন ১টি উইকেট। ৩২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন জুনায়েদ খান।
চলতি আসরে ষষ্ঠ ম্যাচে এটি খুলনার পঞ্চম হার। শনিবার রাতের ম্যাচে তারা আবার চিটাগংয়ের মুখোমুখি হবে।