ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে রোমাঞ্চকর জয় পেলো মুশফিকের চিটাগং ভাংকিংস। রবি ফ্রাংলিংকের ৯ বলে ২৫ রানের ঝড়ে আসরের পঞ্চম জয় তুলে নিলো চিটাগং।
ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংও রানের খাতা খেলার আগেই উইকেট হারায়। রাসেলের বলে ২ বল থেকে বিদায় নেন শেহেজাদ। তবে ক্রিজে থাকা অন্য ওপেনার ডেলপোর্ট এ সময় ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। দলীয় ৩২ রানে তাকে থামান সাকিব। ১২ বল থেকে ৩০ রান করেন ডেলপোর্ট।
তৃতীয় উইকেটে ইয়াসির আলী ও মুশফিকের ব্যাটে দলীয় সংগ্রহ অর্ধশতক পেরোয়। তবে ৫১ রানে ১৭ বল থেকে ১৫ রান করা ইয়াসিরকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান। এরপর ক্রিজে আসা শানাকাকে মাত্র ২ রানে বিদায় করেন সাকিব।
৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানো চিটাগং এ সময় মুশফিক ও মোসাদ্দেকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। দলীয় ৯৫ রানে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। রুবলের শিকার হওয়ার আগে তিনি ২৩ বল থেকে ২২ রানের ইনিংস খেলেন। ষষ্ঠ উইকেটে মোসাদ্দেক ও নাইম জুটিতে ২১ বল থেকে ১৯ রান আসে। এরপর ছন্দপতন। ইনিংসে ১৭তম ওভারে সাকিব কোনো রান না খরচ করেই নাইমের উইকেট তুলে নেন।
সপ্তম উইকেটে ফ্রাইলিংক ও মোসাদ্দেক জুটি বাঁধার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। দলীয় ১১৯ রানের সময় ৩৯ বল থেকে ৩৩ রান করা মোসাদ্দেক রান আউট হলে ম্যাচ ঢাকার দিয়ে ঝুঁকে যায়।
শেষ দুই ওভারে চিটাগংয়ে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। তাদের একমাত্র ভরসা ছিলেন ফ্রাংলিংক। রুবেলর করা ১৯তম ওভারে আসে ৫ রান। শেষ ওভারে তাদরে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৬ রান। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পান ফ্রাংলিংক। পরের চারটি বলে তিনি মোহর শেখকে ৬,২,৬,ও ৬ মারেন। এক বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় চিটাগং। ৯ বল থেকে ২৫ রানের ইনিয়স খেলে অপরাজিত থোকেন ফ্রাংলিংক।
ঢাকার হয়ে এদিন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন সাকিব। রুবেল ও রাসেল নেন ১টি করে উইকেট।