শেরে বাংলার উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার পারফরমেন্সও বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সেই বিপিএল থেকেই তার বানানো পিচ নিয়ে চলছে হরেক রকম কথাবার্তা আর সমালোচনা। দেশি বিদেশি সব ক্রিকেটার ও কোচের একটাই কথা, ‘শেরে বাংলার উইকেটের অবস্থা এমন কেন? এটা কি টি-টোয়েন্টি উইকেট? ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট পরিসর মানেই শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ। যেখানে চার ও ছক্কার অবাধ প্রদর্শনী হবে। রানের নহর বয়ে যাবে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতেই কিউরেটর গামিনিকে সরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা আর করা হয়ে ওঠেনি। ফাইনালের দিন যত ঘনিয়েছে ততই খারাপ হয়েছে। তাহলে সত্যিই কি বিসিবির পছন্দমত উইকেট না বানিয়ে প্রতিপক্ষকে পিচের তথ্যে পাচার করেছেন কিউরেটর গামিনি?এমন প্রশ্ন উঠা কি স্বাভাবিক না! বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান লঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহের স্বদেশী গামিনি আর হাথুরুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে নানা মুখোরোচক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ফাইনাল ম্যাচের উইকেট থেকে মাশরাফিরা কেন বাড়তি সুবিধা পায়নি? বিসিবির পক্ষ থেকে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে যে উইকেটে টাইগাররা স্কোরবোর্ডে ৩২০ রান তুলেছিলো ফাইনালে তেমনই উইকেট চেয়েছিল টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্ট। ফাইনালের পিচ তেমনই হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন চিফ পিচ কিউরেটর গামিনি। তাকে ফাইনালের আগের দিন উইকেটে পানি দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তিনি শোনেননি।
তার কাছে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট চেয়েছিলো বিসিবি, যেখানে ৩০০ থেকে ৩২০ রান করা সম্ভব এমনকি সেই রান তারা করে জেতাও যায়। অথচ টিম ম্যানেজম্যান্টের কথা না রেখে ফাইনালে স্লো উইকেট দিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ একাত্তর টেলিভিশনকে জানান, ‘ সবাই জানে ব্যাপারটা, বোর্ডও জানত। খেলার পর এইটা নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। মাহাবুব ভাইও এটা নিয়ে অনেক সোচ্চার ছিলেন।