বলের গতি প্রকৃতি ঠিক মতো বুঝে উঠতে না পারায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ২৮৬ অতিক্রম করতেই ব্যর্থ হয় ভারত। ৭৩ দশমিক ৪ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ মাত্র ২০৯। ২০৯ রানের ইনিংসে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল হার্দিক পান্ডের ৯৩।
অন্যদিকে বিয়ের পর প্রথম আন্তর্জার্তিক ম্যাচে খেলতে নামা বিরাট কোহলির পারফর্মেন্স ছিল খুবই হতাশাজনক। মাত্র ৫ রানে মরনে মরকেলের বলে উইকেট কিপার ডি ককের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে নেমে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। ৪১ ওভার ২ বলে মাত্র ১৩০ রানে প্রোটিয়াদের বেঁধে ফেলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে ভারত। কারণ, সামান্য ২০৮ রানের টার্গেট টেস্ট ক্রিকেটে ১ নম্বরে থাকা বর্তমান সময়ের বিদ্ধংসী ভারতের জন্য খুব সামান্যই মনে হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ হাসি হাসলো সেই প্রোটিয়ারাই।
ভারনন ফিলান্ডারের বিদ্ধংসী বলে ১৩৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। ১৩৫ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করতে সমর্থ হন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিলান্ডার ১৫ দশমিক ৪ ওভারে ২ দশমিক ৬৮ ইকোনোমিতে ৪ মেডেন সহ ৪০ রান দিয়ে ক্যরিয়ার সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট পাওয়া ফিলান্ডারই প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন। ৩-১ সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরে চাপে থাকলো ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮৬
ভারত ১ম ইনিংস: ২০৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৬৫/২) ৪১.২ ওভারে ১৩০ (মারক্রাম ৩৪, এলগার ২৫, রাবাদা ৫, আমলা ৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৫, দু প্লেসি ০, ডি কক ৮, ফিল্যান্ডার ০, মহরাজ ১৫, মর্কেল ২, স্টেইন ০*; ভুবনেশ্বর ২/৩৩, বুমরাহ ৩/৩৯, শামি ৩/২৮, পান্ডিয়া ২/২৭, অশ্বিন ০/৩)
ভারত ২য় ইনিংস: ৪২.৪ ওভারে ১৩৫ (বিজয় ১৩, ধাওয়ান ১৬, পুজারা ৪, কোহলি ২৮, রোহিত ১০, ঋদ্ধিমান ৮, পান্ডিয়া ১, অশ্বিন ৩৭, ভুবনেশ্বর ১৩*, শামি ৪, বুমরাহ ০; ফিল্যান্ডার ৬/৪২, মর্কেল ২/৩৯, রাবাদা ২/৪১, মহারাজ ০/১২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভার্নন ফিল্যান্ডার