পর পর দুটি ফাইনালে হারের পর বাংলাদেশ শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল জেতার স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে লজ্জাজনক ভাবে। এমন হার কোনো রকমেই মেনে নিতে পারছেনা বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রিয় মানুষেরা। এভাবে পর পর দুটি ম্যাচে লজ্জা জনক হারের সেই সময় অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সময়ে বিশ্বের যে কোনো ক্রিকেট খেলা দেশকে আমন্ত্রণ করে বা আমন্ত্রিত হয়ে তাদের হারানোর ক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল শ্রীলংকার সাথে ফাইনালে মাত্র ২২২ রানের টার্গেট খুব সহজেই পেরিয়ে জয় তুলে নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিনতু দৃশ্য পাল্টে গেলো যখন তামিম মিঠুনরা ধারাবাহিকভাবে আউট হতে থাকলেন। দেখতে দেখতে মাত্র ৯০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের খুঁটি হয়ে দাঁড়ানো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিজের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।
২২২ তো দূরের কথা ১৪২ রানেই শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। আর ৭৯ রানের লজ্জাজনক হার স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রিয় মানুষগুলোকে। তাইতো ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই অপ্রত্যাশিত এই হারের করণে বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা শুরু হয়।
তবে সম্প্রতি বেসরকারী টিভি চ্যানেল একাত্তরের এক রিপোর্টে বেরিয়ে আসা চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য ইশারা দিচ্ছে এমনই কিছু এক ঘটনার। আর এটি যদি সত্য হয় তাহলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে!
ফাইনালে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট চেয়েছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আর এ ব্যাপারে শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত পিচ কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা আশ্বস্তও করেছিলেন বিসিবিকে। কিনতু ফাইনালের আগের দিন উইকেটে পানি দিতে নিষেধ করা হলেও বোর্ডের কথা শোনেননি তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে ফাইনালের আগে হাথুরুসিংহের সাথে একাডেমী ভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টা গোপন বৈঠক করেছিলেন তিনি এবং শ্রীলঙ্কার কাছে উইকেটের ব্যাপারে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করেছেন। বেসরকারী টিভি চ্যানেল একাত্তরের বিশেষ এক রিপোর্টে এমনটিই উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, “সবাই জানে, সবাই উদ্বিগ্ন ছিল ব্যাপারটা নিয়ে। বোর্ডও জানতো। মাহবুব ভাই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ সোচ্চার ছিলেন এবং চেষ্টা করেছেন ওনার সামর্থ্য অনুযায়ী। খেলার পর এটা নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। কিনতু তারপর আমি এটাও বলতে চাই ২২০ রান যেটা কালকে (শনিবার) আমরা চেজ করছিলাম সেটা করার মত সামর্থ্য বাংলাদেশের এই দলটির আছে।”
শনিবার ম্যাচ শেষেই বাংলাদেশের দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, “সবসময় চেয়েছি যে, ভালো উইকেটে খেলতে যেটা হয়তোবা আমরা শ্রীলঙ্কার সাথে ৩০০ করেছিলাম। অন্তত ২৭০-২৮০ কিংবা ৩০০ রানের উইকেটেই খেলতে চেয়েছিলাম।”
একই কথাই শোনা যায় বোর্ড সভাপতির কণ্ঠেও, “এই পিচেই আমরা ৩২০ রান করেছি। এটা একই পিচ। এরপর কিনতু কোনো খেলা হয় নি। এই পিচে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম যে আমাদের রান অনেক বেশি হবে।”
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি বেরিয়ে আসে এইখান (ষড়যন্ত্রবা অন্য কিছু যাই হউক না কেন) থেকে। ম্যাচের রেজাল্ট তো আর পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।
ভিডিও :