নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। ড্যানেডিলে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৮৮ রানের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। স্কোর বোর্ডে ২ রান উঠতেই ফিরে যান তামিম, লিটন ও সৌম্য। যেখান লিটন ১ রান করতে পারলেন অন্য দুই ব্যাটসম্যান শূন্য হাতেই ফেরেন।
শুরুর বিপর্যয় সামলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলীয় ৪০ রানে বোল্টের পেসে ধরাশায়ী হয়ে ১৭ রান নিয়ে ফিরে যান মুশফিক। এরপর পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে আসা সাব্বির রহমান মাহমুদউল্লাহর সাথে ২১ রানের জুটি গড়ার পর বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত আনেন গ্রান্ডহোম। তিনি ৩৬ বল থেকে ১৬ রান করা রিয়াদকে ফিরিয়ে দিলে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বিরের সঙ্গী হন সাইফউদ্দীন। এই জুটিতে তারা বাংলাদেশের ইনিংস মেরামতের কাজ করতে থাকেন। যেখানে এর মধ্যেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির। ৫৯ বল থেকে ফিফটি পূরণের পথে তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার মারেন। সাব্বিরকে সঙ্গ দেওয়া সাইফউদ্দীনও তাকে ভালো সাপোর্ট দিয়েছেন। তিনি আজ ৬৩ বল থেকে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।
দলীয় ১৬২ রানের সময় সাইফ ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ব্যাক্তিগত ২ রানে বিদায় নেন মাশরাফি। এরপর অষ্টম উইকেটে ৭৬ রান যোগ করেন সাব্বির ও মিরাজ। এই জুটিতেই ১০৫ বল থেকে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। মিরাজ ৩৪ বল থেকে ৩৭ রানে ফিরে গেলে ২৩৭ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর অনেক আগে ম্যাচে হার নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
মিরাজের বিদায়ের পর আর বেশি দূর যায়নি বাংলাদেশের ইনিংস। ইনিংসের ৪৭.২ ওভারে ১১০ বল থেকে ১০২ রানের ইনিংস খেলে সাউদির শিকারে পরিণত হন সাব্বির আর তাতেই ২৪২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি ৯.২ ওভারে ৬৫ রান খরচ করে একাই ৬ উইকেট নেন। বোল্ট ৩৭ রানে ২টি এবং গ্রান্ডহোম নেন ১টি উইকেট।