বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে বেশ কয়দিন হলেও ইংল্যান্ড যেভাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা নিয়ে সমালোচনা থামছে না। কুমার ধর্মসেনার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সাবেক অনেক রথি-মহারথিরা বাজে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করলেও চুপ ছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশেষে তাদের নিকট থেকে দায় এড়ানো বিবৃতি আসলো।
ওভারের চতুর্থ বলে দু’রান নেওয়ার সময় রান-আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দেন ব্যাটসম্যান স্টোকস৷ গাপটিলের ছোঁড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়৷ এ সময় কুমার ধর্মসেনা ফিল্ড আম্পায়ার মাইরাজ ইরাসমাসের সঙ্গে আলোচনা করে মোট ছয় রান দেন।
আইসিসির নিয়ম (১৯.৮) অনুযায়ী, ওভার থ্রোর থেকে যদি বাউন্ডারি আসে তাহলে ব্যাটসম্যানদ্বয় বল থ্রো করার আগ পর্যন্ত যে কয়টি রান নেওয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে সেটা কাউন্ট হবে। যে রানটি নিতে পারেনি অথবা নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিল সেটা কাউন্ট হবে না।’
এ নিয়ে আইসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়াররা নিয়ম সম্পর্কে নিজেদের ধারণা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পলিসির কারণে অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। অর্থাৎ দায় এড়িয়ে গেল ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। বুঝিয়ে দিল, আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন!
টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে, ডিপ মিডউইকেট থেকে গাপটিল বল ছোড়ার সময় স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান স্টোকস এবং তার নন-স্ট্রাইকে থাকা রশিদ দ্বিতীয় রানের সময় পরস্পরকে ক্রস করেননি।
সুতরাং নিয়ম অনুসারে ইংল্যান্ড চতুর্থ বল থেকে ৫ রান পেতো। আর এক রান কম হলে শেষ ২ বলে জয়ের জন্য তিনের বদলে ৪ রান দরকার হতো। যেহেতু শেষ দুই বল থেকে ইংল্যান্ড ২ রান সংগ্রহ করেছে। আর সেটা হলে ম্যাচ টাই হত না। নিউজিল্যান্ড ১ রানে জয়ী হত।