12.4 C
New York
Saturday, April 20, 2024

Buy now

অভিজ্ঞদের পূর্ণাঙ্গ ব্যার্থতা বাংলাদেশকে হারের হতাশায় ডোবালো

নাগপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১৪৪ করতেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট ধসের শিকার হয় বাংলাদেশ দল। মাত্র ৯ রান করে চাহারের বলে সুন্দরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস। অন্যদিকে রানের খাতা না খুলেই দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে চাহারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সৌম্য।

এরপর দলের হাল ধরেন মিঠুন ও নাঈম। ছক্কা আর বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নাইম। ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তরুণ এই ক্রিকেটার। অন্যদিকে ২৭ রান করে চাহারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন মিঠুন।

এরপর পঞ্চম উইকেটে নাম মুশফিক প্রথম বলেই রানের খাতা না খুলেই ফেরেন সাজঘরে। দুবের বল ব্যাটের কোনায় লেগে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে যায় মুশফিকের। দলকে হতাশ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুবের বলে বোল্ড হয়ে ৮১ রান করে ফিরেন নাঈম। এরপর রানের খাতা না খুলেই আবার সেই দুবের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ।

চাহালের বলে বোল্ড হয়ে ৮ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহর পর চাহারের বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ রান করে ফেরেন শফিউল। ১ রান করে আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে চাহারের পঞ্চম শিকার হন মোস্তাফিজ।

৯ রানে চাহারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আমিনুল। এরই ফলে ১৯.২ ওভারে ১৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে করে ৩০ রানে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

ভারতের হয়ে ৩.২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন দীপক চাহার। শিভাম দুবে নেন ৩ উইকেট আর চাহার নেন ১ উইকেট।

আগে, টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ভারত। ১.৩ ওভারে দলীয় ৩ রানেই হারিয়ে বসে অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট। ৬ বল খেলে ২ রান করে শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হারানোর ধাক্কা কিছুটা সামলে ওঠেছিলেন ধাওয়ান আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৩২ রানের জুটিটি ভেঙে আবার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান শফিউল। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আবার জ্বলে ওঠেন তিনি। ওপেনার শেখর ধাওয়ানকে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ব্যাক্তিগত ১৯ রানেই সাজঘরে পাঠান।

ওই ওভারেই শ্রেয়স আয়ারের উইকেট পেতে পারতেন শফিউল, কিন্তু আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বল হাতে পেয়েও ক্যাচটি ধরে রাখতে পারেননি। এই আয়ারকে নিয়েই তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে তুলেন রাহুল। ৩৩ বলেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৪০ বলে তাদের ৫৯ রানের জুটিটি চোখ রাঙাচ্ছিল।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে আল আমিনের বলে মিডঅফে তুলে মারতে গিয়ে লিটন দাসের ক্যাচ হন কেএল রাহুল। ৩৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে তিনি ৫২ রান করেন।

১৭তম ওভারে ঋষভ প্যান্টকে বোল্ড করেন সৌম্য সরকার। প্যান্ট ৯ বলে ৬ রান করতে পেরেছিলেন। একই ওভারে ভারতকে রানের পাহাড়ে তোলা শ্রেয়স আয়ারকেও সাজঘরের পথ দেখান সৌম্য। ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬২ রান করে লং অফে লিটন দাসের ক্যাচ হন আয়ার।

শেষ পর্যন্ত শুভাম দুবে ৮ বলে ৯ রান এবং মনিশ পান্ডে ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সৌম্য সরকার ও শফিউল ২ টি করে উইকেট শিকার করেন। আল আমিন নেন ১ উইকেট। সবচেয়ে খরুচে বোলিং করে ৪ ওভারে ৪২ রান দেন মুস্তাফিজ।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হন দীপক চাহার।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,913FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles