নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের টেস্ট হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলার টাইগাররা। আর এ নিয়ে খুশির শেষ নেই ক্রিকেটঅঙ্গনে। এ জয়ের পর নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
অবশ্য এ গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যর ভাগিদার হতে চাননি তিনি। তার কথা, ‘আরে না না, আমি তো সবে দায়িত্ব নিয়েছি। সব কৃতিত্ব ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের। তাদেরকে অভিনন্দন। সত্যিই তারা দারুণ খেলে দেশকে এক সোনালী সাফল্য উপহার দিয়েছে।’
দলের বেশিরভাগ সদস্য বয়সে নবীন ও অনভিজ্ঞ। এমন এক দল নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের বিপক্ষে জেতা, তাও প্রতিদিন প্রতিটি সেশনে ডমিনেট করে- চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। সেজন্যই জালাল তরুণদের কৃতিত্ব দিতে চান বেশি।
জালাল টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটারদের সমান প্রশংসা করে বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে, বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বয়সে নবীন ও অনভিজ্ঞ। তারপরও তারা পেছন তাকায়নি। নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কথা মাথায় আনেনি। মোটকথা, তাদের চোখ ছিল সামনে। মন ও মাথায় অন্য কিছু ছিল না। শুধু তারা মাঠের কর্মকান্ড নিয়েই মাথা ঘামিয়েছে। নিজের করণীয় কাজগুলো ঠিকমত করার দিকেই মনোযোগী ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতিদিনই কথা হয়েছে। আমি তার কাছ থেকেই জেনেছি, ব্যাটসম্যানদের বলা হয়েছে উইকেটে পড়ে থাকতে। রান আসুক না আসুক উইকেটে বেশি সময় কাটাও। কী হলো না হলো ১০০ বলে কত রান আসলো, ওসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের খেলাটা খেলে যাও। রান এক সময় আসবেই। উইকেটে থাকলেই রান আসবে। এই যে ইন্সস্ট্রাকশন ছিল, তারা সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করেছে তা মানতে। অনুস্মরণ করতে। দেখেন কেউ তুলে মারেনি। আকাশে বা বাতাসে ভাসিয়ে শটস খেলেনি। তার মানে বোঝা যায় ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ ও গেম প্ল্যান তারা ফলো করেছে। উইকেট আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করেছে বলেই রেজাল্ট এসেছে। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, ছেলেরা যদি চায়, মনে ডিটারমিনেশন থাকে, তাহলে তারা ক্যারি করতে পারে।’
জালালের শেষ কথা, ‘আসলে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা আর টিম ম্যানেজমেন্টের ইন্সস্ট্রাকশন ঠিকমত ফলো করলে এমন সাফল্য ধরা দেয়, দিয়েছে।’