নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশের টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিডের সুবাদে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৪০ রানের। সেই লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
পুরো দেশ মুগ্ধ টাইগারদের অনন্য অসাধারন নৈপুণ্যে। চারদিকে একটা উৎসবের আমেজ। ক্রিকেট বোর্ডে স্বস্তি। নির্বাচকরাও খানিক চাপমুক্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলকে নিয়েও অনেক কথা হয়েছে।
তবে বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর এ সময়ের জনপ্রিয় অনলাইন প্রোটাল জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোন আলাপে নান্নু আর সুমন তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
নান্নু বলেন, ‘আমি কেন, কোন সময় কারো চিন্তাতেই আসেনি যে আমরা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে তাদেরকে টেস্টে হারাবো। এটা ট্রিমেন্ডাস পারফরমেন্স। যত প্রশংসাই করিনা কেন, মনে হয় কম বলা হবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, অসাধারণ পারফরমেন্স। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি আমরা হারবো। অথচ, কখনো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে একটি টেস্টও ড্র করতে পারিনি। প্রতিবার প্রতিম্যাচ হেরেছি। অথচ এই ম্যাচে এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি তা। বরং নিউজিল্যান্ডই স্ট্রাগল করেছে। আমরা ডমিনেট করে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘সন্মিলিত চেষ্টা। সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট হলো, টিমওয়ার্ক। পুরো দল এক হয়ে খেলেছে। ব্যাটিং-বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টে সেইম স্ট্যান্ডার্টে মেন্টেইন করতে পেরেছে। মানে যেমন ব্যাটিং ভাল হয়েছে, তেমন বোলিংটাও হয়েছে দারুণ।’
নান্নু আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, দেশের বাইরে টেস্ট জিততে হলে পেসারদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। অবদান রাখতে হবে অনেক। তবেই সাফল্য ধরা দেবে। এ ম্যাচে প্রথমবারের মত আউটস্ট্যান্ডিং বোলিং করেছে। জয় যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলো, তখনই আমি আর সুমন (অপর নির্বাচক হাবিবুল বাশার) মনে করেছিলাম, ছেলেটার মাঝে সম্ভাবনা আছে। তারপরও পাকিস্তানের সঙ্গে চাপের মুখে পারেনি; কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল ছেলেটার কোয়ালিটি আছে। সে পারবে। এবার জয় প্রুভ করেছে।’
এ টেস্ট জয় দেশের ক্রিকেটকে আরও বদলে দেবে, অনেক সমৃদ্ধ করবে। ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টি ফরম্যাটেও এ জয়ের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে- এমন বিশ্বাস প্রধান নির্বাচকের।
তাই মুখে এমন কথা, ‘এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি। শুধু টেস্টেই নয়, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও নিয়মিত জয়ের মানসিকতা তৈরি করে দেবে।’