সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচটি সারা বিশ্ব উপভোগ করেছে। আর সুপার ওভারের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড।
তবে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের শেষ ওভারে চতুর্থ বলে কুমার ধর্মসেনার নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা আম্পায়ার সায়মন টাফেল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান ৷ প্রথম দুটি বল ডট খেলার পর ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় বলটিকে ছক্কা মারেন বেন স্টোকস ৷ চতুর্থ বলে দু’রান নেওয়ার সময় রান-আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ মারেন ব্যাটসম্যান স্টোকস ৷ গাপটিলের ছোঁড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়৷ অপর ফিল্ড আম্পায়ার মাইরাজ ইরাসমাসের সঙ্গে আলোচনা করে মোট ছয় রান দেন।
এখানেই আপত্তি সায়মন টাফেলের। সাবেক এই অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার যুক্তি দেখিয়েছেন, ওটা ৬ রান হবে না ৫ রান হবে।
টাফেল নিউ এজ ও মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় লিখেছেন, ‘ওভারথ্রো এর ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিয়মানুযায়ী যখন ফিল্ডার বল থ্রো করবে তখন থেকে ওভারথ্রোর হিসাব শুরু হবে। ওভারথ্রো আইনের ১৯.৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রানটি বাদ যায়। সেটা হিসাব করাটা ছিল ভুল। তাতে ইংল্যান্ড মোট পাঁচ রান পাওয়ার কথা ছিল। সেখানে আম্পায়াররা ৬ রান দিয়েছেন।’
আইসিসির ওভারথ্রো আইনে যা বলা আছে:
‘আইনে উল্লেখ আছে যদি ওভারথ্রো থেকে বাউন্ডারি আসে তাহলে ব্যাটসম্যানদ্বয় বল থ্রো করার আগ পর্যন্ত যে কয়টি রান নেওয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে সেটা কাউন্ট হবে। যে রানটি নিতে পারেনি অথবা নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিল সেটা কাউন্ট হবে না।’
টেলিভিশন রিপ্লে’তে স্পষ্ট দেখা যায় যে, ডিপ মিডউইকেট থেকে মার্টিন গাপটিল বল ছোঁড়ার সময় স্টোকস ও তার ননস্ট্রাইকার পার্টনার আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের জন্য পরস্পরকে ক্রস করেননি৷
সুতরাং, নিয়ম অনুসারে ইংল্যান্ড চতুর্থ বল থেকে ৫ রান পেতো। আর এক রান কম হলে শেষ ২ বলে জয়ের জন্য তিনের বদলে ৪ রান দরকার হতো। যেহেতু শেষ দুই বল থেকে ইংল্যান্ড ২ রান সংগ্রহ করেছে। আর সেটা হলে ম্যাচ টাই হত না। নিউজিল্যান্ড ১ রানে জয়ী হত।