শুক্রবার বিপিএলে রাতের খেলায় কুমিল্লার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে খুলনা টাইটান্স। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জুনায়েদের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করেছে।
এদিন খুলনার শুরুটা ভালো ছিল না। জুনায়েদের সঙ্গে উদ্ধোধনী জুটিতে এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন জহুরুল ইসলাম। দলীয় ২ রানের মাথায় শুন্য রানে সাইফুদ্দীনের শিকার হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে আসেন একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া আল আমিন। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি তিনি। আল আমিন ও জুনায়েদ দলকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন। প্রতি ওভারে তারা ৯/১০ করে রান তুলতে থাকেন।
দলীয় ৭৩ রানে কুমিল্লাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন আফ্রিদী। এ সময় ১৯ বল থেকে ৩২ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন আল আমিন। তৃতীয় উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ বিজয়ের হাতে জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৯৫ রানে ৯ বল থেকে ১৬ রান নিয়ে আফ্রিদীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
চতুর্থ উইকেটে বড় রান পায় খুলনা। এ সময় মিলান ও জুনায়েদ ৩৩ বল থেকে অর্ধশত রানের জুটিতে খুলনার বড় রানের সম্ভাবান বাড়ান। তবে ৩১ বল থেকে ফিফটি তুলে নেওয়া জুনায়েদ যখন সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই কাটা পড়েন রান আউটে। দুই রান নিতে গিয়ে ডেসানের থ্রোতে উইকেট ভাঙেন সাইফুদ্দীন।
৪১ বল থেকে ৭০ রান নিয়ে ফিরতে হয় জুনায়েদকে। তার ইনিংসটি ৪টি চার ও সমসংখ্যাক ছক্কায় সাজানো ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ভাবে ৭০ রানে রান আউট হয়েছিলেন লিটন দাস। দলীয় ১৫৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় খুলনা। এ সময় ২৫ বল থেকে ২৯ রান করা মিলানকে রিভিউ নিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান আফ্রিদী।
শেষ দিকে ব্রাথওয়েট ৯ বল থেকে ১২ রানে ফিরতে বেশি দূরে যেতে পারেনি খুলনা। শেষ দুই ওভারে মাত্র ১২ রান তুলতে পেরেছে আরিফুল ও শান্ত। ৭ উইকেটে ১৮১ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে ৩৫ রানে আফ্রিদী ৩টি এবং ৩৪ রান ওয়াহাব রিয়াজ নেন ২টি উইকেট। সাইফুদ্দীন নেন ১টি উইকেট।