মিনি রঞ্জি ট্রফি খ্যাত ডঃ কে থিম্মাপায়া স্মৃতি মাল্টি ডে অল ইন্ডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ৩৩১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বিসিবি একাদশ।
২৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেও স্বস্তিতে নেই স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদ ও শহিদুল ইসলামের বোলিং তোপে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি।
স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান জমা করতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারে বিসিবি একাদশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ।
১ রান করা হার্দিককে সরাসরি বোল্ড করে প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তিনি। ৪ বল ব্যবধানে দলীয় ১৮ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলটির।
এইবার আঘাত হানেন আরেক পেসার শহিদুল। তিনি ফেরান মানন ভোহরাকে। আউটের আগে এ ব্যাটসম্যান করেন ৩ চারে ১২ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে শুভম ও সারদেশাই। তবে তা সফল হতে দেননি তাসকিন। ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারে এসে শুভমকে বোল্ড করে থামিয়ে দেন তাদের এ প্রচেষ্টা।
দলীয় ৪২ রানে তাসকিন দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা শ্রীদেশাইকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন। তবে পঞ্চম উইকেটে ৮৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। এই জুটিতে ব্যাট করা সরফরাজ খানকে ব্যক্তিগত ৫০ রানে থামান নাইম হাসান।
সরফরাজের বিদায়ের পর নুরশাদ শেখ ও আমান খান ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নুরশাদ ক্রিজে ৫০ ও আমার ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। দলীয় সংগ্রহ ৫/১৩৭।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে ৫ উইকেটে করা ২৬১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বিসিবি একাদশ। শুরুতেই ২৬ রান করা সাইফের উইকেট হারায় সফরকারীরা।
অনেকটা একা হাতে লড়তে থাকা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন এর কিছু মুহূর্ত পরেই। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে তিনি আউট হলে দলীয় ২৯১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।
তার বিদায়ের পর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয় ব্যাট হাতে চমক দেখাতে। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। যার ফলে দলীয় ৩০৬ রানে থামে বিসিবি একাদশের প্রথম ইনিংস।
প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মধ্যে মুকেশ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। বাকি বোলারদের মধ্যে আকিব, সাইরাজ ও নওশাদ প্রত্যকেই লাভ করেন দুটি করে উইকেট।