রোববার রাতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর।
২০২১ বিশ্বকাপে যা রেকর্ড হয়েছে, তাতে ‘রেকর্ড বিশ্বকাপ’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। এমনকি একপেশে ফাইনাল ম্যাচেও ওলটপালট হয়েছে রেকর্ডের পাতা। চলুন দেখে নিই রেকর্ডসমূহ:
টস জয়েই টুর্নামেন্ট জয়
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭টি ফাইনাল ম্যাচের ম্যাচে ৬টিতেই টসজয়ী দল জিতেছে শিরোপা।
অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতের খেল
২০০৭ বিশ্বকাপে ২৬৫ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ম্যাথু হেইডেন। এবারের আসরে ডেভিড ওয়ার্নার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক না হলেও হেইডেনকে ঠিকই ছাড়িয়ে গেছেন। ২৮৯ রান করে কোনো নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন বাঁহাতি ব্যাটার ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
২০১৬ সালের বিশ্বকাপের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৬১ ছিল ফাইনাল ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। রোববার রাতে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৭২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে এ রেকর্ড ভাঙে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্রুততম ফিফটি
এই রেকর্ডটি প্রথমে ভাঙে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩২ বলে ফিফটি করে কুমার সাঙ্গাকারা ও জো রুটের যৌথভাবে করা রেকর্ড ভেঙে দেন। উইলিয়ামসনের রেকর্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৩১ বলে ফিফটি করে রেকর্ডটি আপন করে নেন মিচেল মার্শ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস
দুবাইয়ে ৪৮ বলে ৮৫ রান করে কেন উইলিয়ামসন এখন বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যক্তিগত যৌথভাবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। ২০১৬ সালের আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মারলন স্যামুয়েলস।
নির্দিষ্ট বোলারকে বেধড়ক পিটুনি
মিচেল স্টার্কের ওপর যেন বাড়তি রাগই ছিল উইলিয়ামসনের। অসি বাঁহাতি পেসারের মুখোমুখি ১২ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করেছিলেন উইলিয়ামসন। যা কি না বিশ্বকাপের এক ম্যাচে নির্দিষ্ট কোনো বোলারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড।