চিটাগংয়ের পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে হারল মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটানস। ৬ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৮৮ রানে। চলতি আসরে ৫ ম্যাচে চতুর্থ জয় পেয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে গেল চিটাগং। আর সাত ম্যাচে ছয়টি পরাজয় দিয়ে টেবিলের তালানীতেই থাকল খুলনা।
২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। শুরুতে স্টারলিং শূন্য রানে রাহীর শিকার হন। আল আমিনকে ৫ রানে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন রাহী। জুনায়েদ ৮ বল খেলে ১৩ রান করে খালেদের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
চতুর্থ উইকেটে খুলনাকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও টেইলর। এই জুটিতে ৬৮ রান তোলেন তারা। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় ১৬ বল থেকে ২৮ রান করে নাইমের বলে বোল্ড হন টেইলর। তবে অন্য প্রান্তে থাকা মাহমুদুল্লাহ ২৫ বল থেকে অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে এরপরই ডেলপোটের বলে নিজের উইকেট হারান তিনি। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা আরিফুল ১৩ বল থেকে ১১ রান নিয়ে ডেলপোটের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। এ সময় খুলনার স্কোর ১২.৩ ওভারে ১০৯/৬।
শেষ দিকে সপ্তম উইকেটে তাইজুল ও ওয়াইস দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ব্যাট হাতে একাই দলকে লক্ষ্যের দিকে নিতে থাকেন ওয়াইস। দলীয় ১৭৪ রানে তাকে থামান খালেদ। ২টি চার ও চার ছক্কায় ২০ বল থেকে ৪০ রান করেন তিনি। মূলত এখানেই খুলনার সব আশা শেষ হয়ে যায়।
শেষ দিকে শারিফুল ৪ বলে ৯, তাইজুল ২১ বলে ২২* ও মালিঙ্কা ২ বলে ৫* রান করলে ৮ উইকেটে ১৮৮ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।
চিটাগংয়ের হয়ে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রাহী। খালেদ ২৯ রানে নেন ২টি উইকেট। ২৫ রানে ডেলপোর্ট ২টি এবং ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন নাইম।
চিটাগং ভাইকিংসের ২১৫ স্কোরটি এবারের বিপিএলের এখন পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ স্কোর। আর সব বিপিএল মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।