ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃষ্টি বিঘ্নিত সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালেও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল তারা।
ফাইনালে যাওয়ার ম্যাচে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৯ রান তোলে। জবাবে সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করতে সক্ষম হয় ভারত। ম্যাট হেনটি ৩৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেনরি ও বোল্টের বোলিং তোপের সামনে পড়ে ভারত। স্কোরবোর্ডে ৫ রান জমা করতেই ভারত হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুলের উইকেট। এই তিন ব্যাটসম্যানের কেউই ১ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ওপেনার রাহুল ও রোহিত হেনরির বলে উইকেটের পেছনে বল জমা করে প্যাভিলনে ফেরত যান। আর কোহলিকে এল বি ডব্লিউএর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন বোল্ট।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। এক পর্যায়ে ৯২ রান তুলতেই ৬টি উইকেট হারায় তারা। যেখানে পান্থ ও পান্ডিয়া দুজনেই ৩২ করে রান ভারতকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। এই দুই ব্যাটসম্যানকেই বিদায় করেন মিচেল স্যান্টনার।
সপ্তম উইকেটে ধোনি ও জাদেজার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। সপ্তম উইকেটে তারা ১১৬ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ৩৯ বল থেকে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন জাদেজা।
দলীয় ২০৮ রানে এই জুটির জাদেজাকে তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে নিউজিল্যান্ড। ৫৯ বল থেকে ৪টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বোল্টের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
এ সময় ভারতের শেষ ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন ধোনি। তবে ৪৯তম ওভারে দুই রান নিতে গিয়ে গাপটিলের ডাইরেক্ট থ্রোতে রান আউট হয়ে যান ধোনি। এখানেই মূলত ম্যাচ শেষ হয়ে যায় ভারতের। ধোনি ৭২ বল থেকে ১টি চার ১টি ছক্কায় ৫০ রান করেন।
ধোনির বিদায়ের পর ৫ রানে শেষ দুইটি উইকেট হারায় ভারত। ফলে ১৮ রানের জয় নিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখে নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের হয়ে বল হাতে বোল্ট ২ ও হেনরি ৩টি উইকেট নেন। স্যান্টনার ৩৪ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া নিশাম ও ফারগুসন নেন ১টি করে উইকেট।