সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে। অনেকে তো সরাসরি বলেই ফেলেছে গতকালের ম্যাচটি পাতানো ছিল আর ভারত ইচ্ছে করেই হেরেছে।
গতকাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল ছিল ভারত। শুধু তাই নয় ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপ মঞ্চে ইংল্যান্ড আর কখনোই জিততে পারেনি ভারতের সাথে। কিন্তু গতকাল ৩৩৮ রানের টার্গেটে ৩১ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে কোনো সুবিধাই করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তুলেছে রাহুলের উইকেটে মাত্র ২৮ রান।সেক্ষেত্রে নতুন বলের দুই ইংলিশ বোলার ক্রিস ওকস ও আর্চারের পারফরমেন্স প্রশংসনীয়।
পরে কোহলি ও রোহিতের ধীর গতির ব্যাটিং এ ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে ভারতীয়রা। রোহিত এই আসরে তিন নাম্বার সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ৭৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কোহলি।
অবাক করার বিষয় যে শেষ ১০ ওভারে ভারতীয়দের প্রয়োজন ছিল ১০৪ রান।তখনো হাতে ছিল ৬ উইকেট আর ক্রিজে ছিলেন পান্ডিয়া ধোনির মত মারমুখী ব্যাটসম্যান। তাই ওভারে ১০.৪০ রেটে রান তোলা আহামরি কোনো ব্যাপার ছিলনা। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যে হাতই খুললেন না ধোনি।পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর শেষ ৩১ বলে যাদব কে নিয়ে তুলেছেন মাত্র ৩৯ রান। আর ইনিংসের এক মাত্র ছক্কাটিও আসে শেষ ওভারে। ব্যাট চালান নি কেদার যাদব ও।
তাই তো প্রশ্ন উঠছে এমন ব্যাটিং এ।নিছক অভিনয় করে ম্যাচ হারলো না তো ধোনি যাদব রা।ম্যাচ পাতায় নি তো তারা।আর পাতালেও প্রকাশ্যে না আসারি কথা, কারণ খেলাটি যে ছিল ক্রিকেটের তিন মোড়লের দুই মোড়লের মধ্যে।আর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের যখন সেমি নিশ্চয়তা টানাপোড়নে তখন এরকম একটা অভিনয়ের মত ম্যাচ উপহার পেল ক্রিকেট দুনিয়া।
পাকিস্তানের সাবেক গতিদানব শোয়েব আখতার ও পরোক্ষভাবে যেন এমন ইঙ্গিতি দিলেন। এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি লিখেছেন, “ভারত আরও ভালো খেলতে পারত। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার আক্রমণাত্মক খেলেছে মেন ইন ব্লুরা। শেষ দিকে ৫ উইকেট হাতে ছিল। তারা বিস্ময় উপহার দিতে পারত।”
এমন ম্যাচ দেখে অবাক সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার সৌরভ গাঙ্গুলি ও। তিনি দোষ চাপিয়েছেন ধোনির উপর। ধোনির আরো দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা উচিত ছিল। তিনি বলেন হাতে ৫ উইকেট রেখে ম্যাচ শেষ না করে যদি ৩০০ রানে অল আউট হয়ে যেত এতটা খারাপ দেখাত না।