দুইটি ছবির পেছনের গল্পটা একই রকম। মাঝে শুধু আট বছরের ব্যবধান। হৃদয়ভাঙার গল্প। সময় বদলায়, তবে বদলায় না নোনা জলের কাব্য দিয়ে লেখা কবিতা।
প্রথম ছবিতে ২০১১ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে না পেরে সেদিন কেঁদেছিলেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর আজ আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পেয়ে কাঁদলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
২০০৭ বিশ্বকাপের সেরা পারফর্ম করে মাশরাফি বাদ পড়েছিলেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে আসরে। আর ২০১৫ বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন বাদ পড়লেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ থেকে।
দল ঘোষণার সময় মিরপুর একাডেমী মাঠেই ছিলেন মাশরাফি। তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়ার অনুভূতি কেমন?
প্রশ্ন শুনে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন মাশরাফি। কিছু একটা বলতে গেলেন। এরপর হাউমাউ কেঁদে বসে পড়লেন। প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগলো তার শান্ত হতে। উপস্থিত সাংবাদিকরাও অবাক।
কিছু সময় পর নিজেকে সামলে নিয়ে মাশরাফি বলেছিলেন, আজকে আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন। আমি ১০০% কনফিডেন্ট ছিলাম বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাবো। কিন্তু আমার কিছু করার নেই। আমি বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই এবং বাংলাদেশ দলের জন্য দোয়া করি।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন শতভাগ প্রস্তুত হয়ে আবারও মাঠে কামব্যাক করতে পারি।সত্যি বলতে কি! দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ না খেলতে পারার চেয়ে বড় আক্ষেপ আর কিছু হতে পারে না।
ইনজুরি কাটিয়ে ডিপিএলে নিজের ফিটনেস প্রমাণ দেওয়া তাসকিন এসেছিলেন মিরপুর একাডেমীতে। সেখানেই তাকে ঘিরে ধরল সাংবাদিকরা। প্রশ্ন, ‘বিশ্বকাপ দলে থাকছেন না। অন্তত আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তো থাকতে পারতেন?’
তাসকিনের উত্তর, ‘না ঠিক আছে। সবাই তো ভালই চায়। দলের খারাপ কেউই চায় না। সামনে আরো সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করবো। প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগ আছে ভাল করার চেষ্টা করবো।’ এরপরই অঝরে কেঁদে দিলেন তাসকিন। কান্না থামাতে না পেরে চলেই যান তিনি।