ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানেই আটকে ফেলল বাংলাদেশ দল। মাশরাফি ও মুস্তাফিজের বোলিং আক্রমণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৪৭ রান তুলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ সময় উদ্ধোধনী জুটিতে শাই হোপ ও অ্যাম্বব্রিস ৩৭ রান যোগ করেন। এরপর ক্যারিবিয়ান শিবিরে প্রথম আঘাত আনেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৯ বল থেকে ২৩ রান করা অ্যাম্বব্রিসকে সৌম্যর হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি অধিনায়ক। দলীয় ৫৬ রানে ক্যারিবিয়ান শিীবরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্রাভোকে ৬ রানে এল বি ডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে রস্টন চেজ ও হোপ আরাব জুটি গড়েন। তাদের ৩৪ রানের জুটি গড়ার পর ক্যারিবিয়ান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। দলীয় ৮৯ রানে চেজকে ১৯ রানে ক্যাচ আউট করেন। এর ১০ রানের ব্যবধানে জোনাথন কার্টারকে ৩ রানে এল বি ডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে হোল্ডার ও হোপ শক্ত প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ১০০ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় উইন্ডিজ। এই জুটি আরো ভয়ংকর হওয়ার আগেই তাদের দুজনকেই ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান মাশরাফি। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া হোপকে ৮৭ রানে থামান তিনি। এরপর দলীয় ২০৭ রানে উইকেটের পেছনে মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হোল্ডার। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার মারে ৭৬ বল থেকে ৬২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারেই ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মাশরাফি। এ সময় ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৪৪.৪ ওভারে ২১১/৭ উইকেট। শেষ দিকে অ্যাশলে নার্স ১৪, কটরেল ৮, রিফার ৭ রান করলে ৯ উইকেট হারিয়ে ক্যারিয়ানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৭ রান।
এদিন অভিষিক্ত ওয়ানডে খেলতে নামা রাহী ছাড়া সকলেই ছিলেন উইকেট শিকারির তালিকায়। ৯ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন রাহী। সমান ওভারে ৪৩ রান দিয়ে একাই ৪টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এছাড়া মাশরাফি ৬০ রানে ৩টি উইকেট নেন। সাকিব ২৭ ও মিরাজ ৪১ রানে ১টি করে উইকেটে নেন।