হ্যামিলটন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৪ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ৩০৭ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। রবিবার ভোর ৪ টায় টেস্টের চতুর্থ দিনে মাঠে নামবে টাইগাররা।
সেডন পার্কে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৪৮১ রানের লিড তাড়া করতে নেমে উদ্ধোধনী জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন সাদমান ইসলাম অনিক ও তামিম ইকবাল জুটি। এই জুটিতে ৮৮ রান তোলার পর ওয়াগনারের শিকারে পরিণত হন সাদমান।
ওয়াগনারের শট পিচ বলে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান সাদমান। ৫টি বাউন্ডারিতে ৭১ বল থেকে ৩৭ রানে করেন তিনি।
এরপরই দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন মোমিনুল হক। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করলেন তিনি। বোল্টের বলে ৬ বল থেকে ৮ রান করে আউট হন মমিনুল।
সৌম্য সরকারকে নিয়ে তামিম ইকবাল জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি খুব বেশিদুর এগোয়নি। মাত্র ১৬ রানেই ভেঙে যায় সে জুটি। টিম সাউদির বলে দুর্ভাগ্যের শিকার হন তামিম।
বাউন্সার হয়ে আসা বলটাকে ছেড়ে দিতে বসে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাট উঠে যায় উপরে। সেই ব্যাটেই বল ছুঁয়ে চলে গেলো স্লিপে দাঁড়ানো বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে। ৮৬ বলে ৭৪ রান করে আউট হন তামিম।
এরপর পঞ্চম উইকেটে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা দুজনে মিলে ৪৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন। যেখানে সৌম্য ৫১ বল খেলে ৩৯ রান এবং রিয়াদ ৪০ বল থেকে ১৫ রান করেছেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির এই ম্যাচে আগেরদিনের ৪৫১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে এদিন আরো ২৬৪ রান যোগ করে। দ্বিতীয় দিনে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামা উইলিয়ামসন শনিবার ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন। মাঝখানে নিকোলসের ৫৩, গ্র্যান্ডহোমের অপরাজিত ৭৬ ও ওয়াগনারের ৪৭ রানের ইনিংসতো ছিলই। এছাড়া প্রথম দিনে রাভাল ১৩২ ও ল্যাথাম ১৬১ রান করে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৩৪ রান। কিউইদের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে শুধু তামিম ইকবালই ভালো খেলেছেন। ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১২৮ বলে ১২৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট শতক।