প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে স্কোরকার্ডে যখন মাত্র ১৮ রান জমা হয়েছে, তখনই নেই দুই তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। যখন উইকেট বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন লিটন দাস ও মুশফিক, তখনই ক্যাচ আউট হয়ে ফেরত যান লিটন। ১৯তম ওভারে আর দুই বল বাকি থাকতে মাঠে নেমে স্ট্রাইকে যান সাকিব। অথচ মাত্র দুই বল পরেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। অন্যদিকে ২১তম ওভারে সাকিবের মতো একইভাবে আউট হন মুশফিক।
তবে একইভাবে নিজেকে এবং ছয়ে নামা ইমরুলকে হতাশ করেছেন মুশফিক। রশিদ খানের পরের ওভারের পঞ্চম বল ছিল গুগলি। স্ট্রাইকে থাকা ইমরুল সেটি স্কয়ার লেগে ঠেলে দিলেন। বল যখন মোহাম্মদ নবির হাতে, তখনই নিজের ভুল বুঝতে পারেন মুশফিক। কারণ ততক্ষণে নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে বের হয়ে অর্ধেক পথ চলে এসেছেন তিনি। নিজের বাহু দিয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন রশিদ খান। ঠিক সাকিবের মতই ভক্তদের হতাশ করলেন মুশফিক।
এমন দৃশ্য দেখে হতাশ হয়েছেন মাশরাফিরাও। অন্তত এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে এমন ভুল বোঝার কারণে রানআউট হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে দায়িত্ববোধ নিয়েও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওভারের শেষ বলে নাটকীয়ভাবে ৩ রানে জয়। বাংলাদেশ গত ম্যাচে হারলে নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ হতেন সাকিব ও মুশফিক।
আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হতেন যদি না মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ১২৮ রানের জুটি বাংলাদেশকে ২৪৯ রানের সংগ্রহ না এনে দিতে পারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে অবশ্যই এমন ভুল হোক, তা ভক্তরা তো বটেই, সাকিব-মুশফিকও হয়তো চাইবেন না।