২০১৮ সালের চলতি মাসেই হাথুরুসিংহের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের বর্তমান কোচ স্টিভ রোডস। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার যাত্রাটা এখন পর্যন্ত সুখকরই। ঘরের মাঠ ছাড়াও বিদেশের মাটিতে জয় পেয়েছে মাশরাফিরা। তবে শান্ত ও ঠান্ডা মেজাজের এই ইংলিশ কোচের উপর সন্তুষ্ট নন ক্রিকেটাররা। এমনকি চাকরিও হারাতে পারেন তিনি।
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ছাড়তে হতে পারে রোডসের। চুপচাপ স্বভাবের মানুষ হওয়ায় ক্রিকেটারদের ওপর খুব একটা কর্তৃত্ব গড়ে তুলতে পারেননি তিনি। এমনকি দলের সব খেলোয়াড়ও নাকি তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয় না বা মান্য করে না।
এই ইংলিশম্যানের নেতৃত্বগুণ নিয়েও অভিযোগ আছে। টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের গেমপ্ল্যান বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। যেই কাজটা প্রধান কোচের করার কথা, সেই গেমপ্ল্যান বুঝানোর কাজটা এখন করে থাকেন টাইগারদের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মাঠের ক্রিকেটারদের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানোর ব্যাপারেও দুর্বলতা উঠে এসেছে রোডসের।
অনেকের মতে, খেলোয়াড়ি জীবনে উইকেটরক্ষক থাকা রোডস কাউন্টি ক্রিকেটের কোচ হিসেবে সফল হলেও, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়ও কোচের এইসব সীমাবদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাইতো কোচের ব্যাপারে ভেবে দেখছে বিসিবি।
তবে উপরের অভিযোগ গুলো উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর সত্যতা কিছুটা হলেও উঠে এসেছে রোডসের মুখে। তাইতো গত রবিবার (২৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদেরকে বলেছিলেন, ‘আমাকে আর ছয় মাস রাখলে, আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম।’
গেলো বছরের জুনে মাসিক ২৩ হাজার ডলার বেতনে রোডসকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করা হয়। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নাও থাকতে পারেন রোডস। চলতি বিশ্বকাপ শেষেই শেষ হয়ে যেতে পারে রোডসের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক।