বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর আয়োজন করা হয়েছে সাহেবদের দেশ ইংল্যান্ডে। সেখানে শনিবার ওভালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল। যেখানে স্টেডিয়ামের বাইরে কোট-প্যান্ট ও মাথায় একখানা চেক টুপি পরে এক ব্রিটিশ বিক্রেতা ঝালমুড়ি বিক্রি করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সেই ব্রিটিশ ঝালমুড়ি বিক্রেতার নাম মিস্টার অ্যাঙ্গাস।
কাগজের তৈরি ঠোঙা বানিয়ে তিনি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কাছে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেছেন। প্রতি ঠোঙার দাম দশ পাউন্ড। বাংলাদেশ টাকায় প্রায় ১০০০ টাকা।
কিন্তু এত টাকা হওয়া সত্বেও ক্রেতার অভাব ছিল না। লাইন দিয়ে অ্যাঙ্গাস কাছে থেকে ঝালমুড়ি কিনেছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। আর সাহেবি বেশে হাসিমুখে একের পর এক খদ্দেরকে সামলেছেন আঙ্গাস। ওভারে ম্যাচ দেখতে আসা মিস্টার অ্যাঙ্গাস যেন আলাদা এক আকর্ষণ হয়ে উঠেছিলেন।
লন্ডন স্ট্রিট ফুডি জানিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন মিস্টার অ্যাঙ্গাস ডেনন। তিনি পেশায় রাঁধুনি। বাঙালি খাবার-দাবারের স্বাদ-গন্ধে তিনি মোহিত হয়েছিলেন। এই শহর থেকে ফিরে তিনি ঝালমুড়ির স্টল দেন। তবে তাঁর স্টল-এর নাকি কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই। কখনও এখানে, তো কখনও ওখানে! এই যেমন পৌঁছে গিয়েছিলেন ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে।
মিস্টার অ্যাঙ্গাস-এর ঝালমুড়ি এক্সপ্রেস এখন জনপ্রিয়। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে তাঁর ঝালমুড়ি বিক্রির একটি ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। দেখে মনে হবে, কোনও গ্রামের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন তিনি। শশা, পেঁয়াজ কাটা রয়েছে একটি পাত্রে। প্লাসটিকের মগে রাখা জিনিসপত্র। টক জল দিচ্ছেন মুড়িতে। সঙ্গে মশলা। কাগজ মুড়িয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন ঠোঙা। তার পর মুড়ি মেখে হাতা দিয়ে তুলে দিচ্ছেন সেই ঠোঙায়। হাসতে হাসতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ঝালমুড়ি। ওভাল স্টেডিয়ামের বাইরে তিনি যতক্ষণ ছিলেন, ভিড় জমে ছিল তাঁর স্টল-এর বাইরে। কেউ কেউ তো আবার মজা করে লিখলেন, ”ওনাকে কখন, কোথায় পাওয়া যাবে কেউ বলতে পারে না। সব থেকে ভাল হয়, টুইটার বা ফেসবুক দেখে ওনার অবস্থান জেনে নেওয়া।” বুঝতে পারছেন তো, ঝালমুড়িওয়ালার চাহিদা!