এক ওভারে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিন আবার উইকেট নিয়ে রাস্তা আরও পরিস্কার করেন।
কিন্তু সব যেন এলোমেলো হয়ে যায় লিটনের শিশুতোষ ভুলে। ভানুকা রাজাপাকসে তখনো খোলস ছড়িয়ে বের হতে পারেননি, কিন্তু লিটনের হাতে জীবন পেয়ে তিনি যেন দানব হয়ে ওঠেন।
একের পর এক বাউন্ডারি- ওভার বাউন্ডারি মেরে বিপর্যস্ত করে ফেলেন বোলারদের। যেখানেই, যেদিকে, যেভাবেই বল দেওয়া হোক না কেন, রাজাপাকসে খেলবেনই। রাজাপাকসে ৩১ বলে ৫৩ রান করে।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে আফিফ হোসেনকে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলেই এক্সট্রা কাভারে দারুণ ছয় হাঁকান রাজাপাকসে। পরের বল থেকে নেন ২ রান। ৩য় বলে উড়িয়ে মেরেছেন স্কয়ার লেগে, ওখানে দাঁড়ানো ফিল্ডার লিটন তালুবন্দি করতে পারেননি, উল্টো বাউন্ডারি হজম করতে হয়। এক জীবনেই যেন রাজাপাকসে আলাদিনের চেরাগ পান।
ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। নিজের রানে ফেরার দিনে মুশফিকের কথা বলতে হলো সতীর্থ লিটনকে নিয়ে।
সতীর্থর ওপর নিজের আস্থা রেখে মুশফিক বলেছেন,‘যত রানই করি না কেন, ছোটখাট কিছু ভুল থাকেই আবার কিছু ইতিবাচক দিকও থাকে। আমাদের আজ যে ভুল হয়েছে সেটা হল লিটনের দুটো ক্যাচ। সে কিন্তু খুব ভালো মানের ফিল্ডার। ব্যাপারটা আমার কাছ থেকে হলে হয়ত এত আশা হতো না। কিন্তু সে ভালো ফিল্ডার । আর ওই সময়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওদের দুই বাঁহাতি দারুণ ব্যাট করছিল। ওই সময় আমাদের দুটো উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ ঘুরেও যেতে পারত।’
লিটন শুধু রাজাপাকসে নন, ক্যাচ মিস করেছেন চারিথ আসালাঙ্কারও। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ১৫তম ওভারে ৬৩ রানে ডিপ কভারে ক্যাচ ছাড়েন লিটন। সেই আসালাঙ্কাকে শেষ পর্যন্ত আউটই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আসালাঙ্কার ক্যাচটি নিতে পারলেও সম্ভাবনা তৈরি হতো।
বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ১৭১ রান। জমাট ফিল্ডিং ও ভালো বোলিংয়ে এমন ম্যাচে জয় পাওয়া সম্ভব। বোলিংয়ে আঁটোসাঁটো হলেও ফিল্ডিংয়ে খেসারত দিয়েছে।