কতটা নির্মম,নিষ্ঠুর,বিবেকহীন হলে এতো গুলো মানুষকে পাখির মতো মারা যায়, তারই একটি উদাহরণ হয়ে রইলো ইতিহাসের পাতায়।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলা থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নানারকম স্টেটাস ও বক্তব্য উঠে আসছে।
এই হামলা চালিয়েছে নিজেকে ব্রেন্টন টেরেন্ট বলে পরিচয় দেয়া এই হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। মুসজিদে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সুইডেনের স্টকহোম শহরে জঙ্গিদের ট্রাক চাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই নাকি টেরেন্ট এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই ধারণার পেছনে হামলাকারীর রাইফেল লেখা কিছু শব্দ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে নিউজ ডট কম এইউ, টাইমস নাও এর মতো মিডিয়াগুলো।
টেরেন্টে যে রাইফেল নিয়ে এই হামলা চালান, সেটার গায়ে কিছু শব্দ লেখা ছিল। হামলার ভিডিওতে যে শব্দগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো, ‘ To take revenge for Ebba Akerlund’। এবা আকারলাউন্ড নামের ১২ বছরের সুইডিশ মেয়েটি ছিল শ্রবণ প্রতিবন্ধী । স্কুল থেকে ফেরার পথে সে স্টকহোমের সেই ট্রাকচাপায় সে প্রাণ হারায়। এবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চে হামলা করে টেরেন্টে। তার রাইফেলের লেখা এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করছে গণমাধ্যম।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে নিহত ৪৯জনের মধ্যেও অন্তত দুজন শিশু ও তিনজন বাংলাদেশিও আছে বলে জানা গেছে। নৃশংস এই হামলার পর ধর্মের নামে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি তুলেছেন শান্তিকামী মানুষ।